ইসলাম যেই পাঁচটি খুঁটির উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে তার মধ্যে হজ একটি গুরুত্বপূর্ন খুঁটি । সব মুসলমানের উপর হজ ফরজ নয়। শুধুমাত্র সামর্থবান মুসলমানের উপর হজ পালন করা ফরজ।প্রতিটি সামর্থবান ব্যক্তির উপর হজ পালন করা ফরজ । তবে কেউ যদি সামর্থ থাকার পর জীবনে একাধিক বার হজ করে থাকে তাকে মহান আল্লাহ তায়ালা তার উপযুক্ত প্রতিদান দান করবে।
কাদের উপর হজ ফরজঃ
- স্বাধীন হওয়াঃ স্বাধীন ব্যক্তির উপর হজ ফরজ কোন পরাধীন ব্যক্তির উপর হজ ফরজ না । ইসলামের প্রাথমিক যুগে গোলাম আযাদ প্রথা ছিল । তখন গোলামদের উপর হজ ফরজ ছিল না। তবে গোলাম যখন আযাদ হবে তখনই তার উপর হজ ফরজ হবে।
- মুসলমান হওয়াঃ মুসলমান ব্যক্তির উপর হজ ফরজ । কোন অমুসলিম এর উপর হজ ফরজ বা বাধ্যতামুলক করা হয় নাই। প্রাক ইসলামিক যুগে মুসলিম অমুসলিম সবাই হজ করতো । দেখা গেলো কোন মুসলমান অমুসলিম অবস্থায় হজ করেছে এখন মুসলমান হওয়ার পর তাবে আবার হজ করতে হবে।
- প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া বালেগ হওয়াঃ প্রাপ্ত বয়স্ক বা বালেগ ব্যক্তির উপর হজ । হজ এর শর্তবলীর মধ্যে বালেগ হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়।
- সুস্থ হওয়াঃ সুস্থ ব্যক্তির উপর হজ ফরজ কোন অসুস্থ ব্যক্তির উপর হজ ফরজ । যিনি কোন প্রকারের অপারগতা ছাড়াই হজ সকল কাজ সম্পূর্ন করত পারবে ঐরকম সুস্খ ব্যক্তির উপর হজ ফরজ।
- দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ন হওয়াঃ কোন অন্ধ ব্যক্তির উপর হজ ফরজ নয়। এমনকি যদি অন্ধ ব্যক্তির কোন পথ প্রদর্শক থাকে তার উপরও হজ ফরজ নয়।
- কয়েদি বা বন্ধী না হওয়াঃ কোন ব্যক্তি যদি কারাগারে বন্ধী থাকে তার উপর হজ ফরজ নয়। তবে কোন কোন আলেমগন বলে থাকে যে বন্ধীর পরিবর্তে তার প্রতিনিধি হজ আদায় করে দিতে হবে।
- পথ খরচ থাকতে হবেঃ পথ খরচ বলতে হজে যাওয়া থেকে শুরু করে হজ পরিপূর্ন করা পর্যন্ত তার নিজের খরচ ও তার পরিবারের খরচ বুঝানো হয়েছে। যার এই খরচ থাকতে হবে তার উপর হজ ফরজ।
- যাওয়ার পথ নিরাপদ হওয়াঃ হজে যাওয়ার পথে যদি কোন পশু বা ডাকাতের ভয় থাকে তবে ঐ ব্যক্তির উপর হজ করা ফরজ নয়।
- স্বামী বা মুহরিম ব্যক্তি সাথে থাকেঃ যেই মহিলার সাথে স্বামী বা মুহরিম ব্যক্তি সাথে থাকবে তার উপর হজ ফরজ। নতুবা হজ ফরজ নয়।
- ইদ্দত অবস্থায় না থাকাঃ যেই মহিলার স্বামী মারা গেছে বা তালাক হয়েছে তিনি যদি ইদ্দত অবস্থায় থাকেন তার উপর হজ ফরজ নয় । ইদ্দত সম্পূর্ন করার পর তার উপর হজ ফরজ।
0 মন্তব্যসমূহ